ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তার সমর্থকরা।
‘ঢাকাবাসী’ ব্যানারে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে থেকে তাদের এই অবস্থান শুরু হয়।
মি. ইশরাককে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ ৪৮ ঘণ্টার জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় এক সপ্তাহ পর আজ আবার বিক্ষোভ শুরু করলেন তার সমর্থকরা।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার ঢাকায় বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান না দেখিয়ে যারা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করেছে সেটি সেই স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তির ঘটনাই আমরা দেখতে পাচ্ছি।”
২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হয়। পরে শেখ ফজলে নূর তাপসকে মেয়র নির্বাচিত করে ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে ওই বছর তেসরা মার্চ নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে মামলা করেন মি. ইশরাক।
গত বছর পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশের সব সিটি মেয়রকে অপসারণ করা হয়। এমন অবস্থায় গেল ২৭শে মার্চ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণার ফল বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল।
এরপর ২৭শে এপ্রিল ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে ইসি।
একইদিন ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আপিল করতে লিগ্যাল নোটিশ দেন দুই ব্যক্তি। নোটিশে গেজেট প্রকাশ ও ইশরাককে শপথ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
কিন্তু সরকার তাকে শপথ না পড়ানোর কারণে তার সমর্থকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন করেন।
পরে গত ১৪ই মে বিএনপির এই নেতাকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়। ২২শে মে রিট খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।
পরে২৭শে মে ওই রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করে চেম্বার জজ আদালত। মি. ইশরাককে ডিএসসিসি মেয়র ঘোষণা করে গেজেট জারির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শুনতে চায় আপিল বিভাগ।
আজপ্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করে পর্যবেক্ষণে জানায়, ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ দেওয়া হবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।